Flood Forecasting & Warning Centre
Hydroinformatics & Flood Forecasting Circle
Bangladesh Water Development Board (BWDB)

Bandarban
Water Level : 2.62
Danger Level : 14.80
Chittagong
Water Level : 0.60
Danger Level : 4.15
Dohazari
Water Level : 0.83
Danger Level : 6.55
Panchpukuria
Water Level : 1.37
Danger Level : 9.05
Ramgarh
Water Level : 10.31
Danger Level : 16.90
Amalshid
Water Level : 9.51
Danger Level : 13.05
B. Baria
Water Level : 1.14
Danger Level : 5.05
Ballah
Water Level : 18.66
Danger Level : 21.20
Bhairabbazar
Water Level : 1.10
Danger Level : 5.80
Bijoypur
Water Level : 7.62
Danger Level : 14.30
Chandpur
Water Level : 0.54
Danger Level : 3.55
Comilla
Water Level : 4.32
Danger Level : 11.30
Daulatkhan
Water Level : 0.74
Danger Level : 2.95
Derai
Water Level : 2.07
Danger Level : 5.50
Durgapur
Water Level : 7.07
Danger Level : 10.80
Habiganj
Water Level : 3.57
Danger Level : 8.65
Jariajanjail
Water Level : 2.13
Danger Level : 6.35
Kalmakanda
Water Level : 2.35
Danger Level : 6.55
Kamalganj
Water Level : 14.40
Danger Level : 19.05
Kanaighat
Water Level : 8.10
Danger Level : 10.90
Khaliajuri
Water Level : 2.47
Danger Level : 4.15
Lourergorh
Water Level : 2.35
Danger Level : 5.95
Manu-RB
Water Level : 11.68
Danger Level : 16.45
Markuli
Water Level : 4.06
Danger Level : 5.95
Meghna-Br
Water Level : 2.43
Danger Level : 4.55
Muslimpur
Water Level : 2.86
Danger Level : 6.45
Nakuagaon
Water Level : 16.88
Danger Level : 20.80
Narsingdi
Water Level : 1.17
Danger Level : 5.25
Sarighat
Water Level : 6.66
Danger Level : 10.70
Sheola
Water Level : 7.36
Danger Level : 10.70
Sunamganj
Water Level : 2.74
Danger Level : 6.05
Sylhet
Water Level : 5.44
Danger Level : 8.30
Barisal
Water Level : 1.06
Danger Level : 2.10
Bhagyakul
Water Level : 1.30
Danger Level : 5.85
C-Nawabganj
Water Level : 10.27
Danger Level : 20.55
Chuadanga
Water Level : 3.79
Danger Level : 11.60
Dinajpur
Water Level : 26.31
Danger Level : 33.05
Faridpur
Water Level : 1.31
Danger Level : 7.05
Goalondo
Water Level : 2.31
Danger Level : 8.20
Gorai-RB
Water Level : 1.89
Danger Level : 12.30
Hardinge-RB
Water Level : 3.44
Danger Level : 13.80
Hatboalia
Water Level : 5.52
Danger Level : 14.05
Madaripur
Water Level : 0.69
Danger Level : 3.75
Mawa
Water Level : 1.31
Danger Level : 5.65
Panchagarh
Water Level : 64.65
Danger Level : 70.30
Pankha
Water Level : 10.69
Danger Level : 22.05
Phulbari
Water Level : 24.83
Danger Level : 29.50
Rajshahi
Water Level : 7.63
Danger Level : 18.05
Sureshswar
Water Level : 0.44
Danger Level : 4.00
Thakurgaon
Water Level : 45.42
Danger Level : 49.95
Aricha
Water Level : 2.56
Danger Level : 8.95
Baghabari
Water Level : 3.69
Danger Level : 9.95
Bahadurabad
Water Level : 13.29
Danger Level : 19.05
Chakrahimpur
Water Level : 13.42
Danger Level : 19.70
Chilmari
Water Level : 18.26
Danger Level : 23.25
Dalia
Water Level : 50.10
Danger Level : 52.15
Demra
Water Level : 1.23
Danger Level : 5.30
Dhaka
Water Level : 1.25
Danger Level : 5.55
Elasinghat
Water Level : 3.84
Danger Level : 10.95
Jagir
Water Level : 1.85
Danger Level : 7.80
Jamalpur
Water Level : 7.54
Danger Level : 16.55
Kaunia
Water Level : 26.70
Danger Level : 28.75
Kurigram
Water Level : 21.28
Danger Level : 26.05
Lakhpur
Water Level : 1.16
Danger Level : 5.35
Mymensingh
Water Level : 1.36
Danger Level : 12.05
Narayanganj
Water Level : 1.39
Danger Level : 5.05
Nayarhat
Water Level : 0.91
Danger Level : 6.85
Noonkhawa
Water Level : 21.14
Danger Level : 26.05
Rekabi-Bazar
Water Level : 1.23
Danger Level : 4.75
Serajganj
Water Level : 6.78
Danger Level : 12.90
Taraghat
Water Level : 1.08
Danger Level : 7.95
Tongi
Water Level : 1.15
Danger Level : 5.65

Increase the speed of the ticker
Set the ticker's scrolling direction to right
Severe Danger Warning Normal South Eastern Hill Ganges Meghna Brahmaputra
River Based Map | Division Based Map | District Based Map | Web-GIS Map

Flash Flood Flash Flood

অববাহিকা (Catchment Area):

কোন এলাকার বৃষ্টিপাত জনিত পানি যে নদ-নদী পথে প্রবাহিত হয় সেই এলাকাকে ঐ নদ-নদীর অববাহিকা বলা হয়। যে এলাকার বৃষ্টির পানি মেঘনা নদী পথে প্রবাহিত হয় সেই এলাকাকে মেঘনা অববাহিকা এলাকা বলে। গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র এবং মেঘনা নদীর অববাহিকা এলাকার পরিমাণ যথাক্রমে প্রায় ৯০৭,০০০ বর্গ-কিমি, ৫৮৩,০০০ বর্গ-কিমি এবং ৬৫,০০০ বর্গ-কিমি। এই অববাহিকা এলাকাগুলির মাত্র প্রায় ৮ শতাংশ বাংলাদেশে অবস্থিত, বাকী অংশ চীন, ভারত, নেপাল ও ভুটানে বিস্তৃত। দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত কয়েকটি নদীর আংশিক অববাহিকা এলাকা মায়ানমারে বিস্তৃত। কাজেই বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে চীন, ভারত, নেপাল, ভুটান ও মায়ানমারের পানি প্রবাহিত হয়। 
বিপদসীমা :

নদ-নদীর তীরবর্তী কোন একটি স্থানের বিপদসীমা বলতে এমন একটি পানি সমতল (বা পানির উচ্চতা) বোঝায়, যার উপর পানি সমতল চলে গেলে ঐ স্থানের আশেপাশের ঘরবাড়ী, শস্য, ফসলাদী ক্ষতিগ্রস্থ হয়। যে নদ-নদীর তীর বরাবর বাঁধ নেই সে ক্ষেত্রে বিপদসীমা ধরা হয়, বাৎসরিক পানি সমতলের গড় মানকে। আর যে নদ-নদীর তীর বরাবর বাঁধ আছে, সেখানে যে পানি সমতল বা উচ্চতা বিবেচনা করে বাঁধটি ডিজাইন করা হয়েছে সেই পানি সমতল বা পানির উচ্চতাই বিপদসীমা হিসেবে গন্য করা হয়। কাজেই স্থানভেদে একই নদ-নদীর বিপদসীমা এবং পানি সমতলের উচ্চতা ভিন্ন ভিন্ন হয়। কোন নির্দিষ্ট স্থানের বিপদসীমা সার্বক্ষণিক তদারকি করতে হয়, এটি কোন স্থায়ী মান নয়।
বন্যা:

বাংলাদেশে যে কয় প্রকার বন্যা দেখা যায় তা হচ্ছে, (১) মৌসুমী জলবায়ুর প্রভাবে নদ-নদীর পানির উচ্চতা বৃদ্ধি জনিত বর্ষাকালীন বন্যা, (২) আকস্মিক (পাহাড়ী ঢল) বন্যা, (৩) অপ্রতুল নিস্কাষণ ব্যবস্থা জনিত বন্যা এবং (৪) সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলে ঝড় সৃষ্ট জলোচ্ছাস বা জোয়ারের উচ্চতা জনিত বন্যা। মৌসুমী জলবায়ুর প্রভাবে নদ-নদীর পানি সমতল (উচ্চতা) বৃদ্ধি জনিত বর্ষাকালীন বন্যায় নদ-নদীর পানি সমতল ধীরে ধীরে বৃদ্ধি বা হ্রাস পায়। আকস্মিক বন্যা বাংলাদেশের উত্তরের কিছু এলাকা, উত্তর-পূর্ব এবং দক্ষিণ-পূর্বাংশে সংলগ্ন পাহাড়ী অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের কারনে হয়ে থাকে এবং পানি সমতল দ্রুত বৃদ্ধি বা হ্রাস পায়। একই সাথে পানি প্রবাহের গতিবেগ বেশী হয়, বন্যা হয় স্বল্প মেয়াদী। অপ্রতুল নিস্কাষণ ব্যবস্থা বা
নিস্কাষণ ব্যবস্থা বাধাগ্রস্থ হয়ার কারনে মাঝারী বা ভারী বৃষ্টিপাতের দরুন কোন কোন এলাকা বন্যা কবলিত হয়, এই প্রকার বন্যা কবলিত এলাকার পানি সমতল খুব ধীর গতিতে হ্রাস পায় এবং বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হয়। ঝড়-ঘুর্ণীঝড়-সাইক্লোন ইত্যাদির কারনে সৃষ্ট জলোচ্ছাস এবং জোয়ারের উচ্চতার কারনে উপকূলীয় অঞ্চলে বন্যা হয়ে থাকে। বাংলাদেশের কোন কোন এলাকায় এক বা একাধিক প্রকার বন্যা দেখা দিতে পারে।   
বন্যা পূর্বাভাস:

আবহাওয়া, বৃষ্টিপাত এবং নদ-নদী সমুহের বিদ্যমান পানি সমতলের অবস্থা বিবেচনা করে গানিতিক মডেলের সাহায্যে ভবিষ্যতে পানি সমতলের অবস্থা কি হতে পারে তা হিসাব করে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ বার্তা তৈরী করা হয়। এজন্য নদ-নদী সমুহের পানি সমতল, বিভিন্ন স্থানের বৃষ্টিপাত, ওয়েব-সাইট ও উপগ্রহের ছবি ভিত্তিক বৃষ্টিপাত তথ্য ও বৃষ্টিপাত পূর্বাভাস সংগ্রহ করা হয়। এসব সংগৃহিত তথ্য-উপাত্ত নদ-নদীর ডিজিটাল নেটোয়ার্ক ভিত্তিক গানিতিক মডেলে ইনপুট হিসেবে ব্যবহার করে "মডেল সিমুলেশনের" মাধ্যমে প্রধান প্রধান নদ-নদীর নির্দিষ্ট স্থানে পানি সমতলের ভবিষ্যতের অবস্থা (উচ্চতা), বর্তমানের তুলনায় ভবিষ্যত পানি সমতলের উচ্চতার পরিবর্তন (হ্রাস বা বৃদ্ধি) এবং ঐ স্থানে বিপদসীমার তুলনায় পানি সমতলের উচ্চতার হিসাব করা হয়। সকল পূর্বাভাস পয়েন্টে পানি সমতল ভিত্তিক "হাইড্রোগ্রাফের" সাহায্যে বন্যা অবস্থার বিবরন, পূর্বাভাস প্রনয়ন এবং প্রচার ও বিতরন করা হয়। "হাইড্রোগ্রাফ" হচ্ছে কোন স্থানের সময়ের সঙ্গে পানি সমতল উচ্চতার পরিবর্তন নির্দেশক লেখচিত্র। পূর্বাভাস "হাইড্রোগ্রাফের" লাল অংশটি পানি সমতলের পূর্বাভাস নির্দেশ করে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র কর্তৃক বর্ষাকালে প্রতিদিন মডেল ভিত্তিক বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কবার্তা প্রনয়ন এবং প্রচার ও বিতরন করা হয়। বর্তমানে ২৯টি নদ-নদীর ৫৪টি স্থানে ২৪ ঘন্টা(১ দিন), ৪৮ ঘন্টা(২ দিন), ৭২ ঘন্টা(৩ দিন), ৯৬ ঘন্টা(৪ দিন) এবং ১২০ ঘন্টা(৫ দিন) পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট তথ্য ভিত্তিক আগাম বন্যা পূর্বাভাস দেয়া হয়। এছাড়া কয়েকটি নির্দিষ্ট স্থানে ১০ দিন পর্যন্ত পরীক্ষামূলক সম্ভাব্য আগাম পূর্বাভাস দেয়া হয়। এই পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট স্থানের সম্ভাব্য সর্বোচ্চ, সর্বনিম্ন এবং গড় পানি সমতল হিসাব করা হয়। পাইলট ভিত্তিতে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার কয়েকটি স্থানে পরীক্ষামূলক ৪৮ ঘন্টার আগাম "ফ্লাস ফ্লাড" পূর্বাভাস দেয়া হয়। চারটি স্থানে প্রকল্প বা অবকাঠামো ভিত্তিক পরীক্ষামূলক ৫ দিন পর্যন্ত আগাম বন্যা পূর্বাভাস দেয়া হয়। এছাড়া দূর্যোগের সময় বিশেষ বন্যা বার্তা প্রনয়ন ও প্রচার/বিতরন করা হয়।
বন্যা সতর্কতা:

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণের কাজ বলতে ভবিষ্যতের পানি সমতল নির্নয়কেই বুঝায়। স্থান ভিত্তিক পূর্বাভাস মূলতঃ ঐ স্থানের পানি সমতল ও বিপদসীমার সাথে সম্পর্কিত। ১) সতর্ক অবস্থাঃ কোন নির্দিষ্ট স্থানের পানি সমতল ঐ স্থানের বিপদ সীমার নিচে ৫০ সেন্টিমিটারের মধ্যে থাকলে তা ওই স্থানের জন্য বন্যা সতর্ক অবস্থা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ২) সাধারণ বা স্বাভাবিক বন্যাঃ কোন নির্দিষ্ট স্থানের পানি সমতল ওই স্থানের বিপদসীমার উপরে বিপদসীমা হতে ১০০ সেন্টিমিটারের মধ্যে থাকলে তা ওই স্থানের জন্য সাধারন বা স্বকভাবিক বন্যা অবস্থা হিসেবে বিবেচিত হয়। ৩) যখন পানি সমতল কন স্থানের বিপদসীমার চেয়ে ১০০ সেন্টিমিটারের বেশী উপর দিয়ে প্রবাহিত হয় তখন তা ওই স্থানের জন্য ভয়াবহ বন্যা হিসাবে বিবেচিত হয়।

প্রচার ও বিতরন:

বন্যা সতর্কবার্তা, দৈনিক বন্যা বার্তা (ফ্লাড বুলেটিন), টেলিফোন, ফ্যাক্স, লবি ডিসপ্লে, ই-মেইল, ওয়েব-সাইট (www.ffwc.gov.bd), সংবাদ মাধ্যম তথা সংবাদ সংস্থা, পত্রিকা, বেতার ও টেলিভিশনের মাধ্যমে প্রচার ও বিতরণ করা হয়। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে IVR পদ্ধতিতে বাংলায় ভয়েস ম্যাসেজ প্রচার করা হয়। বন্যা মৌসুমে যে কোন মোবাইল ফোন থেকে ১০৯৪১ নাম্বারে কল করলে দূর্যোগ বার্তা শোনা যাবে (চার্জ প্রযোজ্য)।

বন্যা পূর্বাভাস মূল্যায়ন:

নদ-নদীর বিভিন্ন স্থানে দৈনিক ৫ বার (সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৩ ঘন্টা অন্তর) পানি সমতল পর্যবেক্ষণ ও রেকর্ড করা হয়। গানিতিক মডেল নির্ভর "সিমুলেটেড" পানি সমতল বা পানি সমতলের পূর্বাভাস তৈরী করা হয়। প্রতিটি স্থানের বর্ষা মৌসুমব্যাপী গানিতিক মডেল নির্ভর "সিমুলেটেড" পানি সমতল বা পূর্বাভাসকৃত পানি সমতল এবং মাঠ পর্যায়ে পর্যবেক্ষণ করা রেকর্ডকৃত পানি সমতলের তুলনা করে বন্যা পূর্বাভাস মূল্যায়ন করা হয়।

পানি সমতল:

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ও অন্যান্য সরকারী সংস্থা সকল প্রকার জরিপ কাজে এবং পানি সমতল পরিমাপের ক্ষেত্রে গণপূর্ত বিভাগের PWD পরিমাপকে মূল ভিত্তি ধরে হিসাব করা হয়। SOB জরিপ কাজে অন্য একটি ভিত্তি বিবেচনা করে। এক্ষেত্রে দেখা যায় PWD ভিত্তিক গড় পানি সমতল মান (বা ভিত্তি মাপ) SOB এর মানের তুলনায় ১.৫ ফুট নীচে বা কম হয়।